শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী থেকে মো:শফিকুল ইসলাম (শফিক)-এর পাঠানো প্রতিবেদন:
দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সাগরকন্যা খ্যাত সমুদ্র সৈকতের কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের ১১ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা। এতে সড়কটি যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কুয়াকাটায় যাওয়া পর্যটকদের ভোগান্তির শেষ ছিল না। ঢাকাসহ দূরপাল্লার বহু বাস গর্তে আটকে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে প্রায়শই। এনিয়ে স্থানীয় মানুষ মানববন্ধনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদী পোস্ট দেন।
বিগত বছরগুলোতে এ এলাকার নেতাদের ভাগ্য পরিবর্তন হলেও বিগত ৯ বছরেও এ সড়কের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। ফলে ভোগান্তি এ জনপদের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী।
এ এলাকার পর্যটকদের একমাত্র যাতায়াতের পথ বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ সড়ক দিয়ে পর্যটকরা সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বেড়াতে আসেন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠায় পর্যটকরা এখন কুয়াকাটামুখী হচ্ছেন। তবে তারা কুয়াকাটার প্রবেশমুখে এসে খানাখন্দে ভরা ১১ কিলোমিটারের ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দেখে অবাক হচ্ছেন।
এবং অনেকেই কুয়াকাটা বিমুখ হচ্ছেন।
এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও হতাশায় ছিলেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাখিমারা থেকে মহিপুর পর্যন্ত সড়কের বেশির ভাগ স্থানের পিচ উঠে গেছে। বের হয়ে আছে ইট-বালু-খোয়া। কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের ১১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে এমন অসংখ্য গর্ত।
যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা। বৃষ্টিতে এসব গর্তে পানি জমে সড়কের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।
তবে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকায় যাতায়াতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সওজ কর্তৃপক্ষ সড়কের এ অংশে ইট খোয়া দিয়ে জরুরি মেরামত করে সচল রাখার চেষ্টা করে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন যথাযথ সংস্কার না করায় সড়কের বেশিরভাগ জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থান দেবে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যাচ্ছে সড়কটি।
এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বিকল হচ্ছে যানবাহন। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে পর্যটকসহ স্থানীয়রা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগসূত্রে জানা গেছে, দ্রুত এ কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে। আর এর ফলে এই অঞ্চলের মানুষের চরম ভোগান্তির অবসান হতে চলছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা এ কারণে স্বস্তি প্রকাশ করেন।